ক্ত প্রত্যয় – এর বৈশিষ্ট্য – গঠন ও অনুবাদ

ক্ত প্রত্যয় – এর বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করা হল । এছাড়াও ক্ত প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য এর সাথে দেখানো হয়েছে ক্ত প্রত্যয় দিয়ে শব্দ গঠন ও ক্ত প্রত্যয় দিয়ে শব্দ গঠন ও বাক্য গঠন কিভাবে হয়। ক্ত প্রত্যয় দিয়ে বাক্য গঠন (অনুবাদ) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ।

ক্ত প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য

একাদশ, দ্বাদশ, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও যে কোনো সরকারী চাকরী পরীক্ষার উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কৃৎ প্রত্যয় প্রত্যয়। নিচে কৃৎ প্রত্যয় – ক্ত-প্রত্যয় সম্পর্কে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।

নিচে ক্ত প্রত্যয় দিয়ে সংস্কৃত অনুবাদ এর বিস্তারিত নিয়মাবলী আলোচনা করা হল –

ক্ত প্রত্যয়-এর বৈশিষ্ট্য – ১

ক্ত প্রত্যয়ের প্রথম বৈশিষ্ট্য হল – অতীত কালে কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে ধাতুর পর ক্ত প্রত্যয় হয় ।

উদাহরণঃ

১. ছেলেটি ফলটিকে দেখছিল ।

উত্তরঃ- বালকেন ফলং দৃষ্টম্ ।

ক্ত-প্রত্যয় হতে বৈশিষ্ট্য – ২

ক্ত-প্রত্যয়ের ত থাকে । অনেক সময় এই ত স্থানে ঢ় / ন হয় ।

উদাহরণঃ

১. গম্ (যাওয়া) + ক্ত = গত ।

২. অদ্ (খাওয়া) + ক্ত = অন্ন / জগ্ধ ।

ক্ত-প্রত্যয়ের নিয়ম – ৩

ক্ত-প্রত্যয়ান্ত শব্দের রূপ পুংলিঙ্গে নর, স্ত্রীলিঙ্গে আ যোগ করে লতা এবং ক্লীবলিঙ্গে ফল‌ শব্দের মতো রূপ হয় ।

ক্ত-প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য – ৪

ক্ত-প্রত্যয়ান্ত পদ কর্তৃবাচ্যে কর্তার এবং কর্মবাচ্যে কর্মের লিঙ্গ, বিভক্তি ও বচন অনুসরণ করে । ভাববাচ্যে সবসময় ক্লীবলিঙ্গ, প্রথমা বিভক্তির একবচন হয় ।

ক্ত প্রত্যয়ের নিয়ম – ৫

গমনার্থক ধাতু, অকর্মক ধাতু, শী-স্থা-আস্-বস্-জন্-রুহ্ প্রভৃতি ধাতুর পর অতীতকালে কর্তৃবাচ্যে ক্ত প্রত্যয় হয় ।

উদাহরণঃ

১. ছেলেটি গিয়েছিল ।

উত্তরঃ- বালকঃ গতঃ ।

২. মেয়েটি কেঁদেছিলো ।

উত্তরঃ- বালিকা ক্রন্দিতা ।

ক্ত প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য – ৬

ইচ্ছার্থক ধাতু, পূজার্থক ধাতু ও বোধার্থক ধাতুর পর বর্তমান কালেও ক্ত প্রত্যয় হয় । এক্ষেত্রে কর্তায় ষষ্ঠী বিভক্তি হয় ।

উদাহরণঃ

১. বিদ্বান ব্যক্তি সকলের দ্বারা পূজিত হন ।

উত্তরঃ- বিদ্বান্ সর্বেষাং পূজিতঃ ।

ক্ত-প্রত্যয় দিয়ে শব্দ গঠন

যে কোনো ধাতুর সাথে ক্ত প্রত্যয় যোগ করার পর যে রূপগুলি হয় তা থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ গুলি বাংলা অর্থ সহ নিম্নে তুলে ধরা হল ।

১. দৃশ্ (দেখা) + ক্ত = দৃষ্ট ।

২. পূজ্ (পূজা করা) + ক্ত = পূজিত ।

৩. ভী (ভয় পাওয়া) + ক্ত = ভীত ।

৪. দা (দান করা) + ক্ত = দত্ত ।

৫. আ-দা (নেওয়া) + ক্ত = আদায় ।

৬. ব্রূ (বলা) + ক্ত = উক্ত ।

৭. বিদ্ (জানা) + ক্ত্ = বিদিত ।

৮. হন্ (হত্যা করা) + ক্ত = হত ।

৯. অধি-ই (পড়া) + ক্ত = অধীত ।

১০. শী (ঘুমানো) + ক্ত = শয়িত ।

১১. সম্-গ্রহ্ (সংগ্রহ করা) + ক্ত = সংগৃহীত ।

১২. ক্রী (ক্রয় করা) + ক্ত = ক্রীত ।

১৩. গ্রহ্ (গ্রহণ করা) + ক্ত = গৃহীত ।

১৪. জ্ঞা (জানা) + ক্ত = জ্ঞাত ।

১৫. শ্রু (শোনা) + ক্ত = শ্রুত ।

ক্ত প্রত্যয় দিয়ে বাক্য গঠন (অনুবাদ)

উপরে ক্ত প্রত্যয় দিয়ে বাক্য গঠন করতে হয় তা প্রতিটি নিয়মের সাথে ১ টি করে দেখানো হয়েছে। এখানে প্রতিটি নিয়ম থেকে করত প্রত্যয় দিয়ে বাক্য গঠন যেভাবে করতে হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করব ।

১. মেয়েটি লোকটিকে দেখেছিল ।

উত্তরঃ- বালিকয়া নরঃ দৃষ্টঃ ।

এই বাক্যটি প্রথম নিয়মের উদাহরণ । বাক্যটি কর্মবাচ্যে করা হয়েছে, তাই কর্তা ‘বালিকয়া’ পদটিতে তৃতীয়া বিভক্তি হয়েছে। কর্ম ‘নরঃ’ পদটিতে প্রথমা বিভক্তি হয়েছে এবং কর্ম যেহেতু পুংলিঙ্গ প্রথমা বিভক্তির একবচন সেজন্য ক্রিয়াটিও কর্মের মতো করা হয়েছে । কেননা কর্মবাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি, কর্মে প্রথমা বিভক্তি ও কর্ম অনুযায়ী ক্রিয়া হয় ।

২. মহিলারা নদীতে গিয়েছিল ।

উত্তরঃ- মহিলাঃ নদীং গতাঃ ।

এই বাক্যটি ৫ নাম্বার বৈশিষ্ট্যের উদাহরণ । বাক্যটি কর্তৃবাচ্যে করা হয়েছে । কর্তৃবাচ্যে কর্তায় প্রথমা বিভক্তি, কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি ও ক্রিয়াপদ কর্তা অনুসারে হয় । তাই এখানে কর্তা ‘মহিলাঃ’ পদটিতে প্রথমা বিভক্তি, কর্ম ‘নদীম্’ পদটিতে দ্বিতীয়া বিভক্তি এবং ক্রিয়া ‘গতাঃ’ পদটিতে প্রথমা বিভক্তি হয়েছে ।

আপনি যদি ‘ক্ত’ প্রত্যয় হতে সংস্কৃত অনুবাদ সম্পর্কে আরোও জানতে চান তাহলে নিচের লিংক-এ ক্লিক করুণ

ক্ত প্রত্যয় গঠন ও অনুবাদ

আপনি যদি অন্যান্য কৃৎ প্রত্যয় হতে সংস্কৃত অনুবাদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের লিংক-এ ক্লিক করুণ

তুমুন্ প্রত্যয় দিয়ে সংস্কৃত অনুবাদ

Leave a Comment