কর্ণভার নাটক

মহাকবি ভাস রচিত কর্ণভার নাটক প্রসঙ্গে নাটকের উৎস, নাটকের নামকরণ, নাটকের বিষয়বস্তু, কর্ণভার নাটক সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।

ভাসের কর্ণভার নাটক

নাট্যগ্রন্থকর্ণভার নাটক
রচয়িতাভাস
অঙ্ক১ টি
শ্রেণি‘ব্যায়োগ’ শ্রেণির নাটক
উৎসমহাভারত (কর্ণপর্ব)
বিশেষ বৈশিষ্ট্যস্ত্রী চরিত্র বিহীন নাটক

কর্ণভার নাটকের অঙ্ক সংখ্যা

এক অঙ্কের নাটক।

কর্ণভার নাটকের শ্রেণি

‘ব্যায়োগ’ শ্রেণির নাটক কর্ণভার। কেউ কেউ এটিকে উৎসৃষ্টিকাঙ্ক’ বলেছেন। যদিও এই একাঙ্ক দৃশ্যকাব্যটির শেষে নাট্যকার লিখেছেন “ইতি কর্ণভারং নাটকং সমাপ্তম্‌” – নাট্যকারের মতে এটি নাটক।

কর্ণভার নাটকের উৎস

মহাভারতের কর্ণপর্বের কাহিনিকে উপজীব্য করে নাটকটি রচিত।

কর্ণভার নাটকের নামকরণ

মহত্ত্বে দেবতাদের চেয়েও কর্ণের ভারবত্তা অর্থাৎ গৌরবত্ব বেশি হওয়ায় নাটকটির এরূপ নামকরণ।

কর্ণভার নাটকের নাট্যরস

নাটকটি বীররসাত্মক।

কর্ণভার নাটকের বিষয়বস্তু

কর্ণ যুদ্ধে যাচ্ছেন। অর্জুন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই সময় দেবরাজ ইন্দ্র ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে ভিক্ষার প্রার্থনা নিয়ে উপস্থিত হলেন। দানবীর কর্ণ প্রার্থীকে সবৎসা শত শত গাভি, বেগবান কাম্বোজ দেশীয় অশ্ব, বলশালী হস্তিবৃন্দ, রত্নরাজি, অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল এমনকি কর্ণ নিজের মস্তক পর্যন্ত উৎসর্গ করতে চাইলেও প্রার্থীর তা অভীষ্ট নয়। ব্রাহ্মণের কামা কর্ণের সহজাত কবচ-কুণ্ডল। সারথি শল্যের নিষেধ অগ্রাহ্য করে কর্ণ নিজের অঙ্গচ্ছেদন করে সহজাত কবচ-কুণ্ডলটি দান করলেন ইন্দ্রকে। বিনিময়ে ব্রাহ্মণের দান বলে দেবদূতের মাধ্যমে ইন্দ্ৰ কর্তৃক প্রদত্ত ‘বিমলা’ নামক একাঘ্নী অস্ত্র গ্রহণ করলেন।

কর্ণভার নাটকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য

স্ত্রী চরিত্র বিহীন নাটক।

আরোও পড়ুন

ভাসের লেখা অন্যান্য নাটকগুলি হল- প্রতিমা, অভিষেক, দূতবাক্য, দূতঘটোৎকচ, কর্ণভার, মধ্যমব্যায়োগ, উরুভঙ্গ, পঞ্চরাত্র, বালচরিত, প্রতিজ্ঞাযৌগন্ধরায়ন স্বপ্নবাসবদত্তা, অবিমারক ও চারুদত্ত

(FAQ) মহাকবি ভাসের লেখা কর্ণভার নাটক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কর্ণভার নাটকটির অংক সংখ্যা কয়টি?

কর্ণভার নাটকটির অংক সংখ্যা ৭ টি।

২. কর্ণভার নাটক নাটকটির রচয়িতা কে?

কর্ণভার নাটকটির রচয়িতা হলেন মহাকবি ভাস।

৩. কর্ণভার নাটক নাটকটির মূলরস কি?

কর্ণভার নাটক নাটকটির মূলরস- বীর

Leave a Comment