মহাকবি ভাস রচিত প্রতিমা নাটক প্রসঙ্গে নাটকের উৎস, নাটকের নামকরণ, নাটকের বিষয়বস্তু, প্রতিমা নাটক সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।
Table of Contents
ভাসের প্রতিমা নাটক
নাট্যগ্রন্থ | প্রতিমা নাটক |
রচয়িতা | ভাস |
অঙ্ক | ৭ টি |
শ্রেণি | নাটক |
উপজীব্য | রামায়ণ (অযোধ্যা – লঙ্কা) |
নায়ক | রামচন্দ্র |
নায়িকা | সীতা দেবী |
বিশেষ বৈশিষ্ট্য | রামায়ণমূলক ভাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক |
প্রতিমা নাটকের উৎস
রামায়ণের অযোধ্যা কাণ্ড থেকে লঙ্কা কাণ্ড পর্যন্ত ঘটনাকে উপজীব্য করে প্রতিমা নাটকটি রচিত হয়েছে।
প্রতিমা নাটকের নামকরণ
মাতুলালয় (মামা বাড়ী) থেকে ফিরে আসার সময় ‘প্রতিমাগৃহে’ রক্ষিত দশরথের মূর্তি দেখে ভরত পিতার মৃত্যু সংবাদ জানতে পারেন। এই তাৎপর্য্যের জন্যই নাটকটির এরূপ নামকরণ হয়েছে।
প্রতিমা নাটকের বিষয়বস্তু
দশরথ কর্তৃক রামের রাজ্যাভিষেকের উদ্যোগ গৃহীত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কৈকেয়ীর বর প্রার্থনা অনুসারে ভরতের রাজ্য প্রাপ্তি হয় ও রামচন্দ্রের বনবাস গমন (লক্ষ্মণ ও সীতাসহ) হয়েছে। দশরথের মৃত্যু হয়েছে। মাতুলালয়ে অবস্থানকারী ভরতকে দশরথের মৃত্যু সংবাদ না জানিয়ে অযোধ্যায় প্রত্যাগমনের ব্যবস্থা হয়েছে। অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকালে বিশ্রামের জন্য ভরত এক প্রতিমাগৃহে (দেব-গৃহে প্রবেশ করলে সেখানে তিনি তাঁর প্রয়াত পিতৃপুরুষদের প্রতিমার সঙ্গে দশরথের প্রতিমা দর্শন করেন। বিহ্বল ভরত পূজারীকে পিতৃ-প্রতিমা সংস্থাপনের কারণ জিজ্ঞাসার জবাবে প্রকৃত সত্য (পিতার মৃত্যু) জানতে পারেন। ভ্রাতার নির্বাসনের সংবাদ শ্রবণ করে রামচন্দ্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বনে গমন করেন। ভরতের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেন রামচন্দ্র। ভরত রামচন্দ্রের পাদুকা এনে অযোধ্যার সিংহাসনে ঐ পাদুকার অভিষেক করেন। অতঃপর লঙ্কেশ্বর রাবণ কর্তৃক সীতাহরণ, রাম-রাবণের যুদ্ধ ও রাবণের পরাভব। সীতাকে উদ্ধার করে অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করে রাজ্যভার গ্রহণ পর্যন্ত এই নাটকের কাহিনি বিস্তারিত হয়েছে।
আরোও পড়ুন
ভাসের লেখা অন্যান্য নাটকগুলি হল- অভিষেক, দূতবাক্য, দূতঘটোৎকচ, কর্ণভার, মধ্যমব্যায়োগ, উরুভঙ্গ, পঞ্চরাত্র, বালচরিত, প্রতিজ্ঞাযৌগন্ধরায়ন স্বপ্নবাসবদত্তা, অবিমারক ও চারুদত্ত।
(FAQ) মহাকবি ভাসের লেখা প্রতিমা নাটক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
প্রতিমা নাটকটির অংক সংখ্যা ৭ টি।
প্রতিমা নাটকটির রচয়িতা হলেন মহাকবি ভাস।
রামায়ণমূলক ভাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক হল- প্রতিমা নাটক।
প্রতিমা নাটকটির নায়ক হলেন- রামচন্দ্র ও নায়িকার হলেন- সীতা দেবী।