একাদশ শ্রেণীর নাট্যাংশ হতে বড় প্রশ্ন – ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশে উল্লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের মাতৃকাস্তুতির বিবরণ বা ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশে উল্লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের গানগুলির বিষয়বস্তুর বর্ণনা হল।
ভারতবিবেকম্ নাটকের বড় প্রশ্ন – ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশে উল্লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের গানগুলির বিষয়বস্তুর বর্ণনা বা ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশের প্রথম দৃশ্যে উল্লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের মাতৃকাস্তুতির বিবরণ
Table of Contents
শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের মাতৃকাস্তুতির বিবরণ
প্রশ্নঃ- ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশে উল্লিখিত গানগুলির বিষয়বস্তু বর্ণনা করো। [একাদশ বার্ষিক ২০১৫]
অথবা, ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশে উল্লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের গানগুলির বিষয়বস্তু বর্ণনা করো।
অথবা, ‘ভারতবিবেকম্’ নাট্যাংশে প্রথম দৃশ্যে উল্লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথের মাতৃকাস্তুতির বিবরণ দাও।
উত্তর:- শ্রীযতীন্দ্রবিমল চৌধুরী রচিত ‘ভারতবিবেকম্‘ নাট্যাংশের প্রথম দৃশ্যে দুই যুগাবতার রামকৃষ্ণদেব ও নরেন্দ্রনাথ দুটি ভক্তিমূলক গানের দ্বারা মা ভবতারিণীর স্তুতি করেছেন য়েছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণের মাতৃকাস্তুতি
“জয়তি জয়তি যতি জনগতি জননী ভবতারিণী।
নিয়ত বিহিত সুতশতহিত বন্ধ মোক্ষকারিণী।।
গৃহ শত শত বিরচন রত কোটি দুঃখহারিণী।
মমতাঘন করুণ নয়ন তৃষিত শান্তিকারিণী।।
সদাহকারণ কৃপাকারিণী।
তনয়-তনয় পুণ্য বিনয় ধন্যং মা কুরু জননী!”
শ্রীরামকৃষ্ণের মাতৃকাস্তুতির বিষয়বস্তু
গানটির বিষয়বস্তু হল- মা ভবতারিণী সাধুজনদের চালনা করেন। জগতে ভক্তসন্তানদের কল্যাণের পথে শত শত বাধাবিঘ্ন থাকে। মা ভবতারিণী সর্বদা তাদের সেই বাধাবিঘ্ন দূর করেন। দুঃখজর্জরিত শত শত মানুষের দুঃখ হরণ করেন, তিনি তাই মমতাময়ী। সংসারের তাপতপ্ত সন্তানেরা তাঁর কৃপাদৃষ্টির জন্য ভূষিত। মা ভবতারিণী সেইসব সন্তানদের শান্তি দেন। মা ভবতারিণী স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কৃপা বর্ষণ করেন। রামকৃষ্ণদেব নিজেও মায়ের এক দীন ভক্ত, মা যেন তাঁর প্রতিও কৃপা বর্ষণ করেন।
নরেন্দ্রনাথের মাতৃকাস্তুতি
“মনো নিভৃতং পশ্য শ্যামাং জননীম্।
শ্মশানবাসিনীং নৃমুণ্ডমালিনীম্
হিমালয় নন্দিনীং বিশ্ব পালিনীম্।।
মনো মেহহর্নিশং পশ্য
জগদ্ধাত্রীং ভববন্ধহারিণীং
শক্তিস্বরূপিনীং জননীম্।।”
নরেন্দ্রনাথের মাতৃকাস্তুতির বিষয়বস্তু
এই গানটির বিষয়বস্তু হল- হে মন! শ্যামা মাকে একমনে দর্শন কর। মা শ্যামা শশ্মশানবাসিনী। তাঁর গলায় দোলে নরমুণ্ডের মালা। তিনি হিমালয়ের কন্যা। তিনি বিশ্বের পালনকর্ত্রী। তিনিই জগতকে ধারণ করে আছেন। সংসারের সকল দুঃখ দূর করেন তিনি। তিনিই আদ্যাশক্তি।