সংস্কৃত ব্যাকরণের পরস্মৈপদ বিধানের নিয়মগুলি সকল শিক্ষার্থীদের জন্য নিচে সূত্র ও উদাহরণ সহযোগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল ।
Table of Contents
পরস্মৈপদ বিধানের নিয়ম
যে বিশেষ বিশেষ নিয়ম অনুসারে আত্মনেপদী ধাতুগুলি পরম্মৈপদে পরিণত হয় সেই নিয়মাবলীকে পরম্মৈপদ বিধান বলে।
পরস্মৈপদ বিধান কোথায় কোথায় হয় ?
নিয়মগুলি নিম্নলিখিত –
পরস্মৈপদ বিধানের নিয়ম – ১.
১। অনু-পরাড্যাং কৃঞঃ–অনু ও পরাপূর্বক কৃ-ধাতুর উত্তর কর্তার আত্মার্থেও পরস্মৈপদ হয়।
যথা—স মাম্ অনুকরোতি, বৃদ্ধো মে আবেদনং পরাকরোতি।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ২ .
২। প্রাদ বহঃ—এ-পূর্বক বহু ধাতুর উত্তর পরম্মৈপদ হয়।
যথা—নদী প্রবহতি।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ৩ .
৩। ব্যাঙ্-পরিড্যোরমঃ — বি, আঙু ও পরি-পূর্বক রম-ধাতুর উত্তর পরস্মৈপদ হয়।
যথা-ভৃত্যঃ কার্যাৎ বিরমতি। এতাবদুত্ত্বা বিররাম রাম: বৃদ্ধঃ উদ্যানে আরমতি, বালকঃ ক্রীড়ায়াং পরিমতি।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ৪ .
৪। উপাচ্চ–উপ-পূর্বক (সকর্মক) রম ধাতু পরস্মৈপদী হয়।
যথা—যজ্ঞদত্তমুপরমতি।
পরস্মৈপদ বিধানের নিয়ম – ৫ .
৫। অভি-প্রত্যতিভ্যঃ ক্ষিপঃ—কর্তা স্বয়ং ক্রিয়াফলভাগী হলেও অভি, প্রতি এবং অতি পূর্বক ক্ষিপ্ ধাতুর উত্তর পরস্মৈপদ হয়।
যথা—স দানেন কর্ণম্ অভিক্ষিপতি : স বেগেন বায়ুর প্রতিক্ষিপতি। স লক্ষ্যম অতিক্ষিপতি।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ৬ .
৬। পরেমঃ—পরি-পূর্বক মৃয্ ধাতুর উত্তর পরস্মৈপদ হয়।
যথা—স জ্ঞাতিভ্যঃ পরিষ্যতি মঘোনে পরিমৃষ্যন্তং দৈত্যং হস্তি সদা হরিঃ।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ৭
৭। বিভাষাহকর্মকাৎ-অকর্মক হলে, উপ-পূর্বক রম-ধাতুর উত্তর বিকল্পে পরস্মৈপদ হয়।
যথা—স ভোজনাৎ উপরমতি উপরমতে বা।
পরস্মৈপদ বিধানের নিয়ম – ৮ .
৮। অদেঃ প্রতিষেধঃ—ভোজনার্থক হলেও অদ্ ধাতু ণিজন্ত হলে উভয়পদীই হয়ে থাকে।
যথা—মাতা পুত্রেণ অম্লং আদয়তি/আদয়তে।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ৯
৯। নিগরণ চলনার্থেভ্যশ্চ—ণিজন্ত ভোজনার্থ ও চলনার্থ ধাতুর উত্তর পরস্মৈপদ হয়।
যথা—নিগারয়তি, আশয়তি, ভোজয়তি বা শিশুঃ মাতা। চলয়তি, কম্পয়তি বা বৃক্ষপত্রাণি পবনঃ।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ১০ .
১০। অণাবকর্মকাচ্চিত্তবৎ কর্তৃকাৎ—যদি অণিজন্তকালে প্রাণী কর্তা থাকে, তা হলে অকর্মক ধাতুর ণিজন্ত অবস্থায় পরস্মৈপদ হয়।
যথা—পুত্রঃ শেতে, মাতা পুত্রং শায়য়তি।
কিন্তু প্রাণী কর্তা না। হলে হয় না।
যথা-জলং শয্যতি, সূর্যো জলং শোষয়তি শোষয়তে বা। নদী বর্ধতে, বর্ষা নদীর বর্ধযুক্তি বর্ধয়ন্তে বা।
পরস্মৈপদ বিধানের নিয়ম – ১১ .
১১। দ্যুভ্যোলুঙি—লুঙ্ বিভক্তিতে দ্যুত প্রভৃতি ধাতুর বিকল্পে পরম্মৈপদ হয়।
যথাঃ অদ্যুতৎ—অদ্যোতিষ্ট।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ১২
১২। ন’ পা-দম্যাঙ্-যমাঙ্ যস্-পরিমুহ-রুচি-নৃতি বদবসঃ—পা, দম, আ-পূর্বক যস্ ও যস, পরিপূর্বক মুহ্ এবং রুচ, নৃৎ বদ্ ও ধাতু ণিজন্ত হলে পরস্মৈপদী হয় না।
যথা-পায়য়তে সময়তে, আয়াসয়তে, পরিমোহয়তে, রোচয়তে, নতযতে, বাদয়তে, বাসয়তে।
পরস্মৈপদ বিধানের নিয়ম – ১৩ .
১৩। বুধ-যুদ্ধ-নশ্-জনেঙ-প্রু-ঘু-প্রুভ্যো গেঃ- ণিজন্ত বুধ, যুধ, নশ, জন, অধ্যয়নার্থ ইপ্রু ধু ওव् ধাতুর পরস্মৈপদ হয়।
যথা—বোধয়তি পদ্মম, যোধয়তি সৈনিকম, নাশয়তি দুঃখম, জনয়তি সুক্ষ্ম, বেদম, প্রাবয়তি, দ্রাবয়তি, ম্রাবয়তি।
পরস্মৈপদ বিধানেরনিয়ম – ১৪ .
১৪। ম্রিয়তে লুঙলিঙোশ্চ—আত্মনেপদের এই সূত্রের ফলে লিট, লুট্, লুট্ ও লুঙ্ বিভক্তিতে মৃ ধাতুর পরম্মৈপদ হয়।
যথা : লিট্-মমার, লুট্-মর্তা, মর্তাসি, লুট্—মরিষ্যতি, লঙ্-অমরিষ্যৎ।।