সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়

সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়, সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ের উদাহরণ, সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয় দিয়ে অনুবাদ।

সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়

ক্ত্বাচ্ প্রত্যয় – এর সকল বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ গঠনের নিয়ম

সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য

1.দুটি ক্রিয়ার কর্তা একজন হলে যে ক্রিয়াটি আগে অনুষ্ঠিত হয় সেই ক্রিয়ার ধাতুর পর ক্ত্বাচ্ প্রত্যয় হয়।

অন্যভাবে করে (করিয়া), বলে (বলিয়া), ভেবে (ভাবিয়া), দেখে (দেখিয়া) প্রভৃতি এ যুক্ত (ইয়া যুক্ত) অসমাপিকা ক্রিয়ার সংস্কৃত অনুবাদ করার সময় ক্ত্বাচ্ প্রত্যয় যুক্ত করতে হয়।

2.ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ের ক্ চলে যায়, ত্বা থাকে।

3.ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ অব্যয়। অর্থাৎ কোনো শব্দের মতো রূপ হবে না।

সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ের উদাহরণ

নিম্নে ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ের উদাহরণ গুলি ধাতুর প্রথম বর্ণ দিয়ে দেওয়া হল । যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ত্বাচ্ প্রত্যয় মনে রাখতে সুবিধা হয় ।

অ-বর্ণ শুরু ধাতু থেকে সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ

অদ্ + ক্ত্বাচ্ = জগ্ধ্বা।

অস্ + ক্ত্বাচ্ = ভূত্বা।

অর্চ + ক্ত্বাচ্ = অর্চিত্বা/ অর্চয়িত্বা।

অর্জ + ক্ত্বাচ্ = অর্জয়িত্বা।

ই-বর্ণ শুরু ধাতু থেকে সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ

ই +ক্ত্বাচ্ =ইত্বা।

ইষ্ +ক্ত্বাচ্ = ইষ্ট্বা/এষিত্বা।

কৃ + ক্ত্বাচ্ = কৃত্বা।

কথ্ + ক্ত্বাচ্ = কথয়িত্বা।

কম্প্ + ক্ত্বাচ্ = কম্পিত্বা।

কুপ্ + ক্ত্বাচ্ = কুপিত্বা/কোপিত্বা।

কৃত্ +ক্ত্বাচ্ = কর্তিত্বা।

কৃষ্ + ক্ত্বাচ্ = কৃষিত্বা/কর্ষিত্বা।

ক্রন্দ্ + ক্ত্বাচ্ = ক্রন্দিত্বা।

ক্রীড়্ + ক্ত্বাচ্ = ক্রীড়িত্বা।

ক্রুধ্ + ক্ত্বাচ্ = ক্রুদ্ধ্বা।

ক্ষম্ + ক্ত্বাচ্ = ক্ষমিত্বা/ক্ষান্ত্বা।

খণ্ড্ + ক্ত্বাচ্ = খণ্ডয়িত্বা।

খাদ্ + ক্ত্বাচ্ = খাদিত্বা।

গণ্ + ক্ত্বাচ্ = গণয়িত্বা।

গম্ + ক্ত্বাচ্ = গত্বা।

গর্জ্ + ক্ত্বাচ্ = গর্জিত্বা।

গৈ + ক্ত্বাচ্ = গীত্বা।

গ্রহ্ + ক্ত্বাচ্ = গ্রহীত্বা।

ঘৃষ্ + ক্ত্বাচ্ = ঘৃষ্ট্বা /ঘর্ষিত্বা।

চর্ + ক্ত্বাচ্ = চরিত্বা।

চল্ + ক্ত্বাচ্ = চলিত্বা।

চর্ + ক্ত্বাচ্ = চরিত্বা।

চি +ক্ত্বাচ্ = চিত্বা।

চিন্ত্ + ক্ত্বাচ্ = চিন্তয়িত্বা (চিন্তা করে)

ছিদ্ + ক্ত্বাচ্ = ছিত্বা (ছেদন করে)

সংস্কৃত ক্ত্বাচ্ প্রত্যয় দিয়ে অনুবাদ

১.আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে বইগুলি পড়বো ।

উত্তরঃ- বয়ং বিদ্যালয়ং গত্বা পুস্তকানি পঠিষ্যামঃ ।

২. ছেলেটি চাঁদ দেখে হাসছে ।

উত্তরঃ- বালকঃ চন্দ্রং দৃষ্ট্বা হসতি ।

৩. স্নান খাওয়া করে সুখী হও ।

উত্তরঃ- স্নাত্বা ভুক্ত্বা সুখী ভব ।

৪. ছাত্ররা বই পড়ে জ্ঞান লাভ করে ।

উত্তরঃ- ছাত্রাঃ পুস্তকং পঠিত্বা জ্ঞানং লভন্তে ।

Leave a Comment