বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস

বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস – বেদ শব্দের ব্যুৎপত্তি ও অর্থ, বেদ সম্পর্কিত উক্তি সমূহ, বেদের কাল, বেদের বিভাগ, বেদের অংশ

বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস

সংস্কৃত সাহিত্য বা ভারতীয় সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই আলোচনা করতে হয় বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে ।

‘রামায়ণ’ রচিত হওয়ার পূর্ববর্তী কাল পর্যন্ত – এই সময়ের মধ্যে ‘বেদ’ সম্বন্ধিত সকল প্রকারের সাহিত্যকেই বলা হয় বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস ।

আপনি কী WBSLST সংস্কৃত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন? Online Mock Test দিতে চান? তাহলে বিস্তারিত জানতে নিচের Link টিতে Click করুণ- SLST Sanskrit Online Mock Test (Admission Details)

বেদ শব্দের ব্যুৎপত্তি ও অর্থ

এই ‘বেদ’ শব্দটি ‘বিদ্’ ধাতুর সাথে ‘অচ্’ বা ‘ঘঞ্’ প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন । এর আক্ষরিক অর্থ হল – জ্ঞান । ‘বেদ’ শব্দের অর্থ জ্ঞান । সেই অতিন্দ্রিয় পরম জ্ঞানকে যে শাস্ত্র থেকে লাভ করা যায়, তাই বেদ ।

বেদ সম্পর্কিত উক্তি সমূহ

উক্তিবক্তাঅবস্থান
বেদহখিলধর্মমূলম্মনুমনুসংহিতা
ইষ্টপ্রাপ্ত্যপরিহারয়োরলৌকিকমুপায়ং যো গ্রন্থবেদয়তি স বেদঃসায়ণঐতরেয় ব্রাহ্মণ ভাষ্য
প্রত্যক্ষেণানুমিত্যা বা যস্তূপায়ো ন বিদ্যতে
এনং বিদন্তি বেদেন তস্মাদ্ বেদস্য দেবতা
যাজ্ঞবল্ক্য
বেদো ধর্মমূলম্গৌতম
মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্আপস্তম্ব
মন্ত্রব্রাহ্মণাত্মকশব্দরাশির্বেদঃঋগ্বেদ ভাষ্য ভূমিকাসায়ণ
ন কশ্চিৎ বেদতর্কাস্তিপরাশরসংহিতাপরাশর
সামর্গ্যজুর্বেদাস্ত্রয়স্ত্রয়ীঅর্থশাস্ত্রকৌটিল্য
তেষামৃক্ যত্রার্থবশেন পাদব্যবস্থাপূর্ব মীমাংসাজৈমিনি
গীতিষু সামাখ্যাপূর্ব মীমাংসাজৈমিনি
শেষে যজুঃ শব্দঃপূর্ব মীমাংসাজৈমিনি
বেদ সম্পর্কিত উক্তি

বেদের কাল

বেদ কোন সময়ে রচিত হয়েছিল তা নিয়ে আজও বিভিন্ন মতান্তর বিদ্যমান । তবে একথা বলা যায় যে বেদ কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে রচিত হয় নি; কালক্রমে বহু সময় ধরে বেদের মন্ত্রগুলি পরিপুষ্টতা লাভ করেছে । নিচে একটি ছকের সাহায্যে বেদের কাল গুলি আলোকপাত করা হল –

মতান্তরে বেদের কাল

মতসময়কালভিত্তি
ম্যাক্সমূলার১২০০ – ১০০০ খ্রী. পূ.ভাষা ও সাহিত্য
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়১০০০ – ৯০০ খ্রী. পূ.ভাষা ও সাহিত্য
বালগঙ্গাধর তিলক৪৫০০ – ৪৬০০ খ্রী. পূ.জ্যোতিষ
জ্যাকোবি৪৫০০ খ্রী. পূ.জ্যোতিষ
কামেশ্বর আইয়ার৪৫০০ খ্রী. পূ.জ্যোতিষ
ম্যাকডোনেল১৩০০ / ১৫০০ খ্রী. পূ.ইতিহাস
আর. জি. ভাণ্ডারকর২৫০০ খ্রী. পূ.ইতিহাস
উইণ্টারনিৎস্২৫০০ খ্রী. পূ.ইতিহাস
হুগো উইঙ্কলার২৫০০ – ২০০০ খ্রী. পূ.প্রত্নতত্ত্ব
অবিনাশচন্দ্র দাস২৫০০০ – ২০০০০ খ্রী. পূ.ভূতত্ত্ব
বেদের কাল

বেদের বিভাগ

বেদ মূলতঃ চার প্রকার । যথা – ঋগ্বেদ, সামবেদ, যর্জুবেদ ও অথর্ববেদ ।

বেদের অংশ

বেদের দুটি অংশ যথা মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ । আবার, সূক্ষ্মভাবে বিচার করলে মন্ত্র, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ্ – এই চারটিও পাওয়া যায় ।

(FAQ) বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. বেদ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কি?

‘বেদ’ শব্দটি ‘বিদ্’ ধাতুর সাথে ‘অচ্’ বা ‘ঘঞ্’ প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন। এর আক্ষরিক অর্থ হল – জ্ঞান। ‘বেদ’ শব্দের অর্থ জ্ঞান। সেই অতিন্দ্রিয় পরম জ্ঞানকে যে শাস্ত্র থেকে লাভ করা যায়, তাই বেদ।

২. বেদের অংশ ও কি কি?

বেদের দুটি অংশ যথা মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ।

৩. বেদ কয় প্রকার ও কি কি?

বেদ চার প্রকার। যথা – ঋগ্বেদ, সামবেদ, যর্জুবেদ ও অথর্ববেদ।

1 thought on “বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস”

  1. সংস্কৃত তর্ক সংগ্রহ গ্রন্থ নিয়ে টেক্সট টা নিয়ে আলোচনা করলে সুবিধা হয় 🙏🙏

    Reply

Leave a Comment