গঙ্গাস্তোত্রম্ পদ্যাংশ থেকে ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর- উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত

Higher Secondary উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত বিষয়ের গঙ্গাস্তোত্রম্ পদ্যাংশ থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল ।

Table of Contents

উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত গঙ্গাস্তোত্রম্ পদ্যাংশ থেকে ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার উপযোগী করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গাস্তোত্রম্ থেকে ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হল ।

গঙ্গাস্তোত্রম্ পদ্যাংশ থেকে ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – পূর্বপাঠ

শ্রীশঙ্করাচার্য  কোন্  ধর্মের প্রচারক  ?

উঃ- শ্রীশঙ্করাচার্য বৈদিক ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রচারক ।

শ্রীশঙ্করাচার্যের  জন্ম  কোথায়  ?

উঃ- শ্রীশঙ্করাচার্যের জন্ম বর্তমান কেরালা রাজ্যের এর্ণাকুলাম্ জেলার কালাডি গ্রামে ।

গঙ্গার  পিতা  ও  মাতার  নাম  কি  ?

উঃ- গঙ্গার পিতা হিমালয় ও মাতা মেনকা ।

‘গঙ্গাস্তোত্রম্’  কোন্  ছন্দে  রচিত  ?

উঃ- ‘গঙ্গাস্তোত্রম্’ পজ্ঝটিকা ছন্দে রচিত ।

গঙ্গা  স্বর্গে  কি  নামে  পরিচিত  ?

উঃ- গঙ্গা স্বর্গে সুরধনী / অলকানন্দা নামে পরিচিত ।

গঙ্গা পাতালে  কি  নামে পরিচিত  ?

উঃ-গঙ্গা পাতালে ভগবতী নামে পরিচিত ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 1

শঙ্করমৌলিবিহারিণি’  কে  এবং  তাঁকে  এমন বলার  কারণ  কি  ?

উঃ- দেবী গঙ্গা দেবাদিদেব মহাদেবের মস্তকে অবস্থান করেন বলে গঙ্গাকে  ‘শঙ্করমৌলিবিহারিণি’  বলা হয়েছে ।

”শঙ্করমৌলিবিহারিণি  বিমলে” – ‘বিমলে’  কাকে  বলা হয়েছে  ?  কেন  ?

উঃ- ‘বিমলে’  বলা হয়েছে গঙ্গা দেবীকে এবং তাঁর জল পবিত্র বলেই  ‘বিমলে’  বলা হয়েছে ।

গঙ্গাকে  ‘ত্রিভুবনতারিণি’ বলার কারণ কি  ?

উঃ- দেবী গঙ্গা স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল – এই তিন ভুবনকে পবিত্র করেন বলেই তাকে  ‘ত্রিভুবনতারিণি’  বলা হয়েছে ।

দেবি সুরেশ্বরি”- এখানে  ‘সুরেশ্বরি’  বলতে  কাকে  বোঝানো  হয়েছে  ?

উঃ- এখানে  ‘সুরেশ্বরি’ বলতে দেবী  মাতা গঙ্গাকে  বোঝানো  হয়েছে ।

‘ত্রিভুবন’  কি  ?

উঃ- ‘ত্রিভুবন’  হল স্বর্গ,  মর্ত্য ও পাতাল ।

“মম মতিরাস্তাম্” – কার মতি এবং তা কোথায় থাকার কথা বলা হয়েছে  ?

উঃ- এখানে  ‘মতি’ অর্থাৎ সুমতি বা বুদ্ধি হল শংকরাচার্যের এবং তিনি তাঁর সুমতি দেবী গঙ্গার পদকমলে থাকার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছেন ।

“তব পদকমলে”- কার পদকমল ?

উঃ- শ্রীশংকরাচার্য দেবী গঙ্গার পদকমলের কথা বলেছেন ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 2

গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে কে মর্ত্যলোকে নিয়ে  আসেন  ?

উঃ- রাজা দিলীপের পুত্র ভগীরথ গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে নিয়ে আসেন ।

গঙ্গা জলের মহিমা কোথায় কীর্তিত

‘ভাগীরথি’  বলতে  কাকে  সম্বোধন  করা  হয়েছে  ?

উঃ- ‘ভাগীরথি’  বলতে দেবী গঙ্গাকে সম্বোধন করা হয়েছে ।

উত্তরঃ- গঙ্গা জলের মহিমা নিগমে অর্থাৎ বেদাদি শাস্ত্রে কীর্তিত

“নাহং  জানে” –  কে,  কী  জানেন  না  বলে  বলেছেন  ?

উঃ- শ্রীশংকরাচার্য গঙ্গাদেবীর অপার মহিমার কথা জানেন না বলেছেন ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 3

গঙ্গার উৎপত্তি কোথা থেকে ?

উঃ- শ্রী হরির চরণ পদ্ম থেকে।

গঙ্গার শুভ্রতার সঙ্গে তুলনীয় বস্তুগুলি কি কি ?

উঃ- গঙ্গাল শুভ্রতার সঙ্গে তুলনীয় বস্তুগুলি হল হিম, বিধু, মুক্তা অর্থাৎ বরফ, চন্দ্র ও মুক্তা।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 4

মাতা  গঙ্গার  ভক্তদের  কে  দেখতে  পায়  না  ?

উঃ- মাতা গঙ্গার ভক্তদের যম দেখতে পায় না ।

গঙ্গা  জল পানকারীর  কি প্রাপ্তি হয়েছে  ?

উঃ- গঙ্গা জল পানকারীর মোক্ষ প্রাপ্তি হয়েছে ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 5

গঙ্গা  কার  জননী  ?

উঃ- গঙ্গা  ভীষ্মের  জননী ।

পরমপদ  কার  দ্বারা  প্রাপ্ত  হয়  ?

উঃ- যারা গঙ্গার পবিত্র জল পান করে তারা পরমপদ বা মোক্ষ লাভ করে ।

‘ত্রিভুবন  ধন্যে’  বলে  কাকে  সম্বোধন  করা  হয়েছে  ?

উঃ- ‘ত্রিভুবনধন্যে’  বলে দেবী গঙ্গাকে সম্বোধন করা হয়েছে ।

শ্রীশংকরাচার্য  জাহ্নবীর কোন্  কর্মের  কথা  বলেছেন  ?

উঃ- শ্রীশংকরাচার্য জাহ্নবীকে পতিতদের উদ্ধারকর্ত্রী বলেছেন ।

শংকরাচার্য  জাহ্নবী  বলতে  কাকে  বলতে  চেয়েছেন  ?

উঃ- শংকরাচার্য জাহ্নবী বলতে দেবী গঙ্গাকে বলতে চেয়েছেন ।

গঙ্গাকে  ‘ত্রিভুবনধন্যে’  বলার  কারণ  কি  ?

উঃ- গঙ্গাকে  ‘ত্রিভুবনধন্যে’ বলার কারণ হল –  গঙ্গা তাঁর স্রোত প্রবাহ দ্বারা দ্যুলোক,  ভূলোক এবং  অন্তরিক্ষলোক এই তিনলোককে ধন্য করেছিলেন ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 6

গঙ্গাকে  ‘কল্পলতা’  বলা  হয়েছে  কেন  ?

উঃ- পৃথিবীতে গঙ্গা কল্পলতার মতো, মানুষ যা চায় তাই তিনি ফলরূপে দানক রেন । তাই তিনি কল্পলতারূপী গঙ্গা ।

‘প্রণমতি’  শব্দের  ব্যুৎপত্তি  নির্ণয়  কর  ?

উঃ-‘প্রণমতি’  শব্দের  ব্যুৎপত্তি  হল –  প্র- √নম্ + লট্  তি ।

গঙ্গা  দেবী  মর্ত্যে কার  মতো  ফলদান  করেন  ?

উঃ- গঙ্গাদেবী মর্ত্যে ‘কল্পলতা’র মতো ফলদান করেন ।

ইহলোকে  কে  পতিত  হয়  না  ?

উঃ- ইহলোকে  যারা গঙ্গাকে  প্রণাম  করে  তারা  পতিত  হয়  না ।

কল্পলতা  কিভাবে  প্রদান  করেন  ?

উঃ- কল্পলতার কাছে যে যা প্রার্থনা করে তাই পায়,  কেউ প্রত্যাখ্যাত হয় না ।

গঙ্গাকে  ‘পারাবার  বিহারিণি’  বলার  কারণ  কি  ?

উঃ- সাগরে বিচরণ করার কারণে গঙ্গাকে  ‘পারাবার বিহারিণি’  বলা হয় ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 7

গঙ্গার  স্রোতে  স্নানের  ফল  কি  ?

উঃ- যে গঙ্গার স্রোতে স্নান করেছে তার আর পুনর্জন্ম হয় না ।

“পুনরপি  জঠরে  সোহপি ন জাতঃ ” – কার পুনরায়  জন্ম  হয়  না  ?

উঃ- নরক যাত্রা বিনাশ কারিণি, পাপ বিনাশ কারিণি,  মহিমায় শ্রেষ্ঠা জাহ্নবীর জলে স্নান করলে তাঁর অনুগ্রহে আর মাতৃ গর্ভে জন্ম হয় না ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 8

“সুখদে  শুভদে  ভৃত্যশরণ্যে” – বলতে  শঙ্করাচার্য  কি  বুঝিয়েছেন  ?

উঃ- “সুখদে শুভদে ভৃত্যশরণ্যে” – বলতে শঙ্করাচার্য মাতা গঙ্গাকে সুখপ্রদায়িণী,  শুভদায়িনী, সেবকের আশ্রয়স্বরূপ বলে আখ্যাত করেছেন ।

‘করুণাপাঙ্গে’  শব্দটির  বাংলা  অর্থ  লেখ  ?

উঃ- ‘করুণাপাঙ্গে’  শব্দটির বাংলা অর্থ হল – ‘কৃপা কটাক্ষময়ী’ ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 9

“হর মে ভগবতি” –  কাকে,  কি হরণ করার কথা বক্তা বলেছেন ?

উঃ-  বক্তা শঙ্করাচার্য রোগ,  শোক,  তাপ,  পাপ, কুমতিসমূহ হরণ বা দূর করার জন্য মা গঙ্গার কাছে প্রার্থনা করেছেন ।

সংস্কৃত পদ্যাংশ গঙ্গাস্তোত্রম্ – শ্লোক – 10

‘অলকানন্দা’  কে  ?

উঃ- শঙ্করাচার্য জগতের  বুকে  প্রবাহিত  গঙ্গাকে  ‘অলকানন্দা’  বলেছেন,  গঙ্গোত্রীর  কাছে; গঙ্গার চার ধারার মধ্যে একটি  হল  অলকানন্দা ।

কাদের বৈকুণ্ঠে নিবাস

উত্তরঃ- গঙ্গার তীরে যিনি বাস করেন

MCQ TEST গঙ্গাস্তোত্রম্

আরোও ছোট প্রশ্নোত্তর দেখার জন্য CLICK HERE

Leave a Comment